সিনিউজ ডেস্ক: ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২১’ প্রকল্পে ট্যাব (ট্যাবলেট পিসি) সরবরাহ করবে বাংলাদেশি প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। সম্প্রতি সরকারি ক্রয় কমিটিতে ট্যাব সরবরাহ প্রস্তাবটি অনুমোদন পেয়েছে। এ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এর সঙ্গে ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চুক্তি হয়েছে।
রোববার (২৭ মার্চ, ২০২২) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বিবিএস সম্মেলন কক্ষে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। বিবিএসের ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২১’-এর প্রকল্প পরিচালক দিলদার হোসেন এবং ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক লিয়াকত আলী ভূঁইয়া নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।
চুক্তি সাক্ষর অনুষ্ঠানে পরিসংখ্যান বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন, মহাপরিচালক মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মঞ্জুরুল আলম অভি এবং চিফ বিজনেস অফিসার তৌহিদুর রহমান রাদসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এই চুক্তির আওতায় ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২১’ প্রকল্পে ৩ লাখ ৯৫ হাজার পিস ট্যাব এবং ৭২ পিস এয়ার কন্ডিশনার সরবরাহ করবে ওয়ালটন। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ওয়ালটন ভিএমওয়্যার এমডিএম সফটওয়্যার (Vmware MDM Software) ব্যবহারের মাধ্যমে ডিভাইস মনিটরিংয়ের কাজ করবে।
এ প্রসঙ্গে ড. শাহনাজ আরেফিন বলেন, বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল আদমশুমারি করতে যাচ্ছে বিবিএস। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে দেশীয় প্রতিষ্ঠান ওয়ালটনের ট্যাব ব্যবহার করতে পেরে আমরা আনন্দিত। এর ফলে দেশ ও দেশীয় শিল্পখাত লাভবান হবে।
এস এম মঞ্জুরুল আলম অভি বলেন, প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদন খাতে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে। হার্ডওয়্যারের পাশাপাশি নিজস্ব সফটওয়্যারও তৈরি করছে ওয়ালটন। বাংলাদেশে তৈরি আন্তর্জাতিকমানের ওয়ালটন পণ্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রপ্তানি হচ্ছে। তাই ইলেকট্রনিক্স ও ডিজিটাল ডিভাইসের ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি প্রকল্পে আর আমদানিকৃত পণ্যের ওপর নির্ভরশীল হওয়ার কোনো দরকার নেই। প্রয়োজন অনুযায়ী কাস্টোমাইজ ডিভাইস উৎপাদন ও সরবরাহে স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পুরোপুরি সক্ষমতা আমাদের রয়েছে।
লিয়াকত আলী ভূঁইয়া বলেন, বাংলাদেশের একমাত্র ল্যাপটপ, কম্পিউটার ও ট্যাব উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ইতোমধ্যেই বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রকল্পে সফলতার সাথে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন পণ্য সরবরাহ করেছে। এই প্রকল্পে পণ্য সরবরাহের কাজ পেয়ে আরো একটি মাইলফলক স্পর্শ করল ওয়ালটন। আমাদের কারখানায় বর্তমানে দৈনিক ২০ হাজার পিস ট্যাব উৎপাদন করার সক্ষমতা রয়েছে। আশা করছি প্রদত্ত সময়সীমার মধ্যেই আমরা পণ্যগুলো সরবরাহ করতে পারবো।
সংশ্লিষ্টদের মতে, বাংলাদেশ এখন ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। সুতরাং ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২১’ প্রকল্পে ওয়ালটনের মতো দেশীয় প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ট্যাব ক্রয়ের সিদ্ধান্ত অত্যন্ত যুগোপযোগী। এর ফলে যেমন সরকারি অর্থের সাশ্রয় হবে, তেমনি দেশীয় প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদন শিল্পখাত আরো এগিয়ে যাবে। যা দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।