চতুর্থ প্রান্তিকে ভিসা’র নিট রাজস্ব বৃদ্ধি ১২%

সিনিউজ ডেস্ক: বিশ্বের শীর্ষ ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি ভিসা ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর শেষে তাদের চতুর্থ প্রান্তিকের আর্থিক ফলাফল প্রকাশ করেছে। ভিসার আয় আগের বছরের তুলনায় ১২% বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০.৭ বিলিয়ন ডলারে। এর মানে, সাধারণ মানুষ বেশি কেনাকাটা করছে, দেশের বাইরে থেকে আরও বেশি পেমেন্ট হচ্ছে, এবং বিশ্বজুড়ে লেনদেন বেড়েছে। কোম্পানিটিও জানিয়েছে, মানুষের ব্যয়, ক্রস-বোর্ডার লেনদেন এবং মোট ট্রানজেকশন সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার ফলে এই প্রবৃদ্ধি এসেছে।

 

এই প্রান্তিকে ভিসার মোট পেমেন্ট ভলিউম ৯% বৃদ্ধি পেয়েছে (মুদ্রার বিনিময় হারের প্রভাব বাদে)। ইউরোপের ভেতরের লেনদেন বাদ দিলে আন্তঃসীমান্ত লেনদেন বেড়েছে ১১%, আর মোট ক্রস-বর্ডার ভলিউম বেড়েছে ১২%। পুরো প্রান্তিকে ভিসা মোট ৬৭.৭ বিলিয়ন ট্রানজেকশন করেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০% বেশি।

 

ফলাফল নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে ভিসার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রায়ান ম্যাকিনার্নি বলেন, “চতুর্থ প্রান্তিকে ভোক্তা ব্যয় বৃদ্ধির কারণে আমাদের নিট রাজস্ব ১২% বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০.৭ বিলিয়ন ডলারে। পুরো বছরে ভিসার নিট রাজস্ব ১১% বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ বিলিয়ন ডলারে, যা আমাদের বহুমুখী ব্যবসায়িক মডেলের স্থিতিশীলতা প্রমাণ করে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-নির্ভর কমার্স, রিয়েল-টাইম মানি মুভমেন্ট, টোকেনাইজেশন এবং স্টেবলকয়েনের মতো প্রযুক্তি যখন বাণিজ্যের ধরণ বদলে দিচ্ছে, তখন উদ্ভাবন ও পণ্যের মান উন্নয়নে আমাদের মনোযোগ ভিসাকে এই শক্তিশালী পার্ফরমেন্স অর্জনে সহায়তা করেছে বলে আমি মনে করি।”

 

চতুর্থ প্রান্তিকে ভিসার সার্ভিস রাজস্ব আগের বছরের তুলনায় ১০% বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪.৬ বিলিয়ন ডলারে। ডাটা প্রোসেসিং রাজস্ব ১৭% বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৫.৪ বিলিয়ন ডলার, আর আন্তর্জাতিক লেনদেন থেকে আয় ১০% বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩.৮ বিলিয়ন ডলারে। অন্যান্য রাজস্ব ২১% বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১.২ বিলিয়ন ডলারে, আর ক্লায়েন্ট ইনসেনটিভ আগের বছরের তুলনায় ১৭% বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৪.২ বিলিয়ন ডলারে।

 

বিশেষ খাত বাদে, চতুর্থ প্রান্তিকে ভিসার নন-জিএএপি নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৫.৮ বিলিয়ন ডলার, যা শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হিসেবে ২.৯৮ ডলার। আগের বছরের তুলনায় লাভ বেড়েছে ৭% এবং শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ১০%। মুদ্রা বিনিময় হারের প্রভাব বাদ দিলে শেয়ারপ্রতি আয় প্রায় ১০% বেড়েছে। একই সময়ে ভিসার জিএএপি ভিত্তিক পরিচালন ব্যয় ছিল ৪.৬ বিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ৪০% বেশি। মূলত মামলা সংক্রান্ত ব্যয় ও কর্মী ব্যয় বৃদ্ধির কারণে এই ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব বিশেষ খাত বাদ দিলে নন-জিএএপি পরিচালন ব্যয় বেড়েছে ১৩%, যা কর্মী, প্রশাসনিক ও পেশাদার সেবার ব্যয় বৃদ্ধির ফল। প্রান্তিক শেষে ভিসার হাতে নগদ ও বিনিয়োগ মিলিয়ে ছিল মোট ২০ বিলিয়ন ডলার।

 

ডিজিটাল বাণিজ্য ও আন্তর্জাতিক লেনদেনের সুযোগগুলো ভালোভাবে কাজে লাগিয়ে ভিসা তাদের ধারাবাহিক আয় বাড়িয়েছে। উদ্ভাবন, নেটওয়ার্ক ও গ্রাহকদের আস্থার কারণে ভিসা বিশ্বব্যাপী পেমেন্ট খাতে দীর্ঘমেয়াদে আরও উন্নতি করবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।