সিনিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের আওতাধীন চাষীদের আখ বিক্রয়ের পেমেন্ট তাদের বিকাশ অ্যাকাউন্টে পৌঁছে দিতে প্রতিষ্ঠানটির সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ। ফলে, চাষীরা এখন থেকে সঠিক সময়ে স্বচ্ছতার সাথে তাদের পেমেন্ট পেয়ে যাবেন, যা সার্বিক আখ সংগ্রহ কার্যক্রমকে গতিশীল করবে।
গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের সচিব চৌধুরী রুহুল আমিন কায়সার ও বিকাশের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার আলী আহম্মেদ।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানা, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো: আরিফুর রহমান অপু, বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর সহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
এই চুক্তির আওতায়, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের অধীন প্রায় ১ লাখ চাষীর কাছ থেকে আখ সংগ্রহের পর তাদের পেমেন্ট দ্রুত পৌঁছে যাবে বিকাশে। ফলে, চাষীরা উৎপাদিত আখের যথাযথ মূল্য পাবেন তাদের হাতের মুঠোয় থাকা বিকাশ অ্যাকাউন্টে এবং কোনো চার্জ ছাড়াই তা ক্যাশ আউট করতে পারবেন দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা ৩ লাখ ৩০ হাজার এজেন্ট পয়েন্ট থেকে। করপোরেশন ও বিকাশ যৌথভাবে ক্যাশ আউট চার্জ বহন করবে। এতে সার্বিক আখ সংগ্রহ এবং তার মূল্য পরিশোধে দ্রুততা, স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে এবং চাষীদের সঙ্গে চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের সম্পর্ক আরো সুদূঢ় হবে।
বিকাশের গ্রহণযোগ্যতাকে প্রশংসা করে শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা বলেন, “দীর্ঘদিন কৃষকদের একটা দাবি ছিলো যে আখের দামটা যাতে এমএফএস এর মাধ্যমে দেয়া, যাতে তারা সহজেই টাকাটা পান। এ চুক্তির মাধ্যমে আখ চাষীদের স্বচ্ছতার সাথে টাকা পৌঁছে দিতে পারবো। তারাও সহজে টাকাটা পেয়ে যাবে। ফলে, এক ধরণের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতাও তৈরি হবে।”
বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো: আরিফুর রহমান অপু বলেন, “মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে পেমেন্ট করার লক্ষ্যে আমরা এবছর ওপেন টেন্ডার পদ্ধতি করেছিলাম। সবগুলো এমএফএস প্রতিষ্ঠান দরপত্রে অংশগ্রহণ করে। আমি আনন্দিত যে বিকাশ তাদের সর্বোচ্চ উৎকৃষ্টতা দিয়ে এই টেন্ডারে বিজয়ী হয়েছে। আমাদের কাছে কৃষকদের সন্তুষ্টি সবার আগে, আমার ধারণা বিকাশের মাধ্যমে তা অর্জন করতে পারবো”।
বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর বলেন, “বিকাশের মাধ্যমে যে টাকাটা পাঠানো হবে তার সম্পূর্ন স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হবে। অর্থাৎ, টাকাটা কোথায় যাচ্ছে, কিভাবে কৃষক তা পাচ্ছেন সে বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা পাবে করপোরেশন। এখন পর্যন্ত, বিকাশ সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা, নিয়মিত যোগাযোগ এবং যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ১ কোটি ২০ লাখ সুবিধাভোগীর কাছে বিভিন্ন সরকারি ভাতা, বৃত্তি, প্রণোদনা পৌঁছে দিয়েছে।”