সিনিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে নিযুক্ত কোরিয়ার রাস্ট্রদূত পার্ক ইয়াং সিক আজ ২৮ মার্চ ২০২৪ তারিখে ঢাকার সাভারের বিরুলিয়ায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ) পরিদর্শন করেন। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স অফিস কর্তৃক ‘অ্যাম্বাসেডর ও ক্লক’ প্রোগ্রামের অধীনে “সমসাময়িক কোরিয়া ঃ গণতন্ত্র, অর্থনীতি, শান্তি নিরাপত্তা ” শীর্ষক সেমিনারে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।
রাষ্ট্রদূত কোরিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সাথে নিরঙ্কুশ একাডেমিক অংশীদারিত্ব এবং একটি সুন্দর সবুজ ক্যাম্পাস থাকার জন্য ডিআইইউ-এর কার্যক্রমের প্রশংসা করেন। পার্ক ইয়ং সিক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরের পর বাংলাদেশ-কোরিয়া সম্পর্ক বহুপাক্ষিক দিক দিয়ে নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে এবং অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।
পার্ক ইয়ং সিক, তার ব্ক্তব্যে কর্মসংস্থান পারমিট সিস্টেমের অধীনে কোরিয়ার ঐতিহাসিক দিকগুলির উপর জোর দিয়ে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলিকে সমর্থন করে এবং প্রশিক্ষকদের ক্ষমতা এবং গবেষণার সুযোগগুলিকে শক্তিশালী করে বাংলাদেশী কর্মীদের জন্য আরো বেশী অভিবাসী গন্তব্যের সুযোগের রূপরেখা দেন। তিনি কোরিয়ার প্রায় ২৫টি বিশ্ববিদ্যালয় এবং সংস্থার সাথে দীর্ঘ সময়ের জন্য সহযোগিতা করার জন্য ডিআইইউ এবং এর নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানান। কারণ ডিআইইউ প্রতি বছর কোরিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সাথে শত শত শিক্ষার্থী এবং শিক্ষাবিদ বিনিময় করে। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে আমরা উভয় দেশে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে একাডেমিক আদান-প্রদান এবং প্রযুক্তিগত সহযোগিতায় আগ্রহী।
সেমিনারে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এস.এম. মাহবুব উল হক মজুমদার তার বক্তব্য শেয়ার করেন। এছাড়া সেমিনারে ড্যাফোডিল ফ্যামিলির গ্রুপ সিইও ড. মোহাম্মদ নুরুজ্জামান, ইন্টারন্যাশনাল এএফয়াস এর পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ ফখরে হোসেন, ক্যারিার ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের পরিচালক ড. তানভীর আবীর, এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইন্টারন্যাশনাল এফেয়ার্সের উপ-পরিচালক সৈয়দ রায়হান-উল-ইসলাম সহ ফ্যাকাল্টি মেম্বার, কর্মকর্তা, প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
উল্লেখ্য, ‘অ্যাম্বাসেডর ও ক্লক’ হল ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের উলেখযোগ্য ইভেন্ট সমূহের অন্যতম যা বাংলাদেশ এবং সংশ্লিষ্ট দেশের সম্পর্কের অতীত ও সমসাময়িক দিক বিশ্লেষণ করার জন্য রাষ্ট্রদূত এবং হাই কমিশনারদের আমন্ত্রণ জানানো হয় যাতে উভয় দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ভবিষ্যতের সম্পর্কের মাত্রা অন্বেষণ করার পাশাপাশি সম্ভাবনা তৈরী করার একটি লিঙ্ক তৈরি করা যায়।