সিনিউজ ডেস্ক: সেই সময়ের কথা মনে পড়ে যখন কাপড় পরিষ্কার করার জন্য একটি নির্ধারিত সময় ছিল—সাধারণত দুপুরের প্রহর? একদিকে বুয়া কাপড়গুলো সংগ্রহ করতেন, অন্যদিকে আপনার মা হয়তো চিৎকার করতেন। প্রতি মাসে একবার বিছানার চাদর, বালিশ এবং পর্দা পরিষ্কার করা হতো। বড় আকারের কাপড় পরিষ্কার করার জন্য বালতির পর বালতি পানি ও বুদবুদ দিয়ে ভরাট করা হতো এবং সেগুলো পরিষ্কার করতে বুয়াকে সহায়তাও করতে হতো – বিশেষ করে বিছানার চাদর চেপে সব পানি বের করে শুকানোর জন্য দড়িতে ঝুলিয়ে রাখতে হতো।
এ প্রক্রিয়াটি ছিল খুবই ঝামেলাপূর্ণ, সময়সাপেক্ষ এবং হাত দিয়ে কাপড় পরিষ্কার করলে হাতের ওপর ক্ষতিকর প্রভাবও পড়তো। আবার এটাও সত্যি যে বিছানার চাদর বা বালিশের মতো জিনিস বার বার পরিষ্কার করার প্রয়োজন হয়। তবে, ভাগ্যক্রমে সময় পরিবর্তিত হয়েছে এবং প্রযুক্তি বিকশিত হয়েছে। যার ফলে আমাদের জীবন আরো সহজ হয়ে উঠেছে। সময়ের ধারাবাহিকতায় ওয়াশিং মেশিন পোশাক দ্রুততার সাথে এবং ওভারসাইজড পোশাক পরিষ্কার করার প্রক্রিয়াকে অনেক সহজ করেছে। উদাহরণস্বরূপ – ৮ কেজি ক্ষমতা সম্পূর্ণ স্যামসাং ফ্রন্ট লোড ওয়াশিং মেশিনের সাহায্যে আপনি একসাথে অনেক কাপড় ধুতে পারবেন। এর অর্থ হলো যার বাসায় এই ওয়াশিং মেশিন আছে, তার কাছে ঘন ঘন বিছানার চাদর বা পর্দা ধোয়ার ব্যাপারটা কম চ্যালেঞ্জিং মনে হবে।
‘ইকো বাবল’ এর মতো প্রযুক্তি কম তাপমাত্রায় শক্তিশালী পরিষ্কার নিশ্চিত করে। প্রযুক্তিটি আপনার পছন্দের ডিটারজেন্টকে বুদবুদে পরিণত করে যেন ময়লা ফ্যাব্রিকের কোন ক্ষতি না করেই দক্ষতার সাথে অপসারণ করা যায়। তাছাড়া, বিল বাঁচাতে আছে অ্যাডওয়াশ ফ্রন্ট লোডার এবং ডিজিটাল ইনভার্টার মোটরের মতো সব বৈশিষ্ট্য।
অ্যাডওয়াশ ফ্রন্ট লোডারের ফলে আপনি যেকোন সময় (এমনকি ওয়াশ সাইকেলের সময়ও) লোডের সাথে কাপড় যোগ করতে পারবেন। চাপের কারণে আপনি জামাকাপড় লোডে দিতে ভুলে যেতে পারেন এবং দ্বিতীয় লোড বন্ধ করতে ভুলে যেতে পারেন। কিন্তু আপনি কেবল উদ্ভাবনী অ্যাডওয়াশ কার্যকারিতার সাহায্যে এগুলো যুক্ত করতে পারেন এবং ঠিকঠাক মতো এই কাজগুলো করতে পারবেন। দ্বিতীয় লোড চালনা এড়াতে অ্যাডওয়াশ অতিরিক্ত শক্তির ব্যবহার বাদ দেয় এবং অপ্রয়োজনীয় পানির ব্যবহার হ্রাস করে। অন্যদিকে, ‘ডিজিটাল ইনভারটার মোটর’ শক্তিশালী পারফরমেন্সের জন্য শক্তিশালী চৌম্বক ব্যবহার করে এবং শক্তির খরচ কমিয়ে আনে।
বেশিরভাগ সময় দেখা যায় যে ডিটারজেন্ট বা পূর্ববর্তী ধোয়াগুলো থেকে উৎপাদিত ময়লার অবশিষ্টাংশ মেশিনে রয়ে যায়। এই ময়লা পরে ধোয়ার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্থ করতে পারে। কিন্তু, এক্ষেত্রে, স্যামসাং -এর পরিবেশবান্ধব ‘ইকো ড্রাম ক্লিন’ প্রযুক্তি ওয়াশিং মেশিন থেকে বাজে গন্ধ ও ময়লা দূর করে এবং জীবাণু ধ্বংস করে।
‘হাইজিন স্টিম সাইকেল’ বৈশিষ্ট্য পরিষ্কারের মানকে উন্নত করবে এবং এই প্রযুক্তি ময়লা, ব্যাকটেরিয়া এবং নিষ্ক্রিয় অ্যালার্জেন অপসারণে সহায়তা করবে। লোয়ার স্পিন স্পিড ব্যবহার করে ‘ইজি আয়রন’ সুবিধা পোশাকের অতিরিক্ত কুঁচকে যাওয়া প্রতিহত করবে।
লন্ড্রি করা (বিশেষত বড় আকারের আইটেম) একটি ঝামেলাপূর্ণ এবং সময়সাপেক্ষ কাজ। কিন্তু বর্তমানে স্যামসাং ফ্রন্ট লোড ওয়াশিং মেশিনের মতো আধুনিক প্রযুক্তির বদৌলতে বাড়ির কাজকর্ম, লন্ড্রি এবং অন্যান্য কাজের মধ্যে সমন্বয় করা অনেক সুবিধাজনক হয়ে উঠেছে। ৮ কেজি থেকে ১৭ কেজি পর্যন্ত সাইজে পাওয়া যাচ্ছে যেগুলোর দাম শুরু ৪৯,০০০ টাকা থেকে। এই উদ্ভাবনী প্রযুক্তি আপনাকে আপনার ব্যয়ের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে, জীবনযাত্রার উন্নতিতে এবং নিজের জন্য অতিরিক্ত সময় বের করতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।