সিনিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক জলবায়ু অর্থায়নে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পসমূহ চিহ্নিত করতে সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) উচ্চ পর্যায়ের এক কনসালটেশন ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি), অর্থ মন্ত্রণালয় এবং ফেডারেল গভর্নমেন্ট অব জার্মানির পক্ষ থেকে জিআইজেড কর্তৃক বাস্তবায়িত প্রকল্প ইম্প্রুভড কোঅর্ডিনেশন অব ইন্টারন্যাশনাল ক্লাইমেট ফাইন্যান্স (আইসিআইসিএফ) যৌথভাবে এই কর্মশালার আয়োজন করে।
এই কর্মশালার লক্ষ্য ছিলো সেক্টরাল মন্ত্রণালয়, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি খাতের প্রাসঙ্গিক অংশীজনদের সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে দেশের জন্য জলবায়ু পরিবর্তন সংশ্লিষ্ট সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলো সম্মিলিতভাবে চিহ্নিত করা। আন্তর্জাতিক জলবায়ু তহবিল উৎসের সাথে জলবায়ু পরিবর্তন প্রকল্পসমূহের প্রস্তাবনার মাঝে সাদৃশ্য স্থাপনের প্রক্রিয়াতে ইআরডি’র ভূমিকা সম্পর্কে অংশীজনদের আরও ভালোভাবে জানানোও কর্মশালা আয়োজনের উদ্দেশ্য ছিলো।
ইআরডি’র যুগ্মসচিব অমল কৃষ্ণ মন্ডল তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, “জলবায়ু অর্থায়ন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে আমরা দক্ষতার পরিচয় দিতে পারছি না, কারণ এর পদ্ধতি বেশ কঠিন ও সময়সাপেক্ষ। বিভিন্ন ফান্ড থেকে আমরা যাতে অধিক অর্থায়ন লাভ করতে পারি সেই উদ্দেশ্যে এই প্রকল্প। এর তিনটি ভাগ রয়েছে, যার একটি আমরা করবো, একটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এর জিআইইউ’র মাধ্যমে এবং আরেকটি করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রকল্পের আওতায় ইআরডি তে একটি ক্লাইমেট ফাইন্যান্স সেল গঠন করা হবে।”
কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. রুহুল আমিন তালুকদার তার বক্তব্যে বলেন, “আমাদের কৃষিখাত জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এ ঝুঁকি নিরসনে বাংলাদেশকে জলবায়ু তহবিল থেকে পর্যাপ্ত সহায়তা প্রদান করতে হবে। আমরা ইতোমধ্যে এ বিষয়ে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার সাথে যোগাযোগ করেছি। বিভিন্ন অংশীজনদের সম্মিলিত প্রয়াসে আমরা জলবায়ু তহবিল থেকে প্রয়োজনীয় অর্থ পাবো বলে প্রত্যাশা করছি। এ রকম সময়োপযোগী একটি কর্মশালা আয়োজনের জন্য আমি ইআরডি ও জিআইজেডকে ধন্যবাদ জানাই।”
জিআইজেড এর প্রিন্সিপাল অ্যাডভাইজার ড. ফিরদৌস আরা হোসেন আইসিআইসিএফ প্রকল্পের কর্মপরিধি অংশগ্রহণকারীদের জন্যে সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, “ভবিষ্যতে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের কষ্টার্জিত অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় বিদ্যমান তহবিলের উৎস এবং পরিমাণ যথেষ্ট হবে না। ইআরডি সক্রিয়ভাবে অর্থের সংস্থান করতে চাচ্ছে এবং নতুন উত্স অনুসন্ধান করছে৷ আইসিআইসিএফ প্রকল্পের লক্ষ্য হল জলবায়ু অর্থায়নের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো, প্রক্রিয়া এবং সক্ষমতা বিকাশে ইআরডি কে সহায়তা করা।”
পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ড. এস. এম. মুনজুরুল হান্নান খান এই কর্মশালায় বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হতে সংগ্রহীত সম্ভাব্য জলবায়ু পরিবর্তন প্রকল্পের আইডিয়াগুলো উপস্থাপন করেন। এরপর অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক জলবায়ু তহবিলের মানদণ্ডের ভিত্তিতে নিজ নিজ খাতের গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলো চিহ্নিত করেন।