সিনিউজ ডেস্ক: ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেছেন, দেশে বাংলাদেশ ডিজিটাল জরিপ তথা বিডিএস কার্যক্রম পুরোদমে চলমান। রাজধানী ঢাকার অদূরে সাভারে অবস্থিত অফিসার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (ওটিআই) মসজিদ সংলগ্ন মাঠে যৌথ ক্যাম্পে ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর (ডিএলআরএস) কর্তৃক আয়োজিত ১৩৪তম সার্ভে এন্ড সেটেলমেন্ট প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ একথা বলেন। ভূমি সচিব মোঃ খলিলুর রহমান এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
ভূমিমন্ত্রী বলেন, বিডিএস-এর আওতাভুক্ত ইডিএলএমএস প্রকল্পের মাধ্যমে চট্টগ্রাম ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন, মানিকগঞ্জ পৌরসভা এবং ধামরাই উপজেলায় ডিজিটাল জরিপের কন্ট্রোল পয়েন্ট অর্থাৎ পিসিএসএম পিলার (পার্মানেন্ট ক্যাডাস্ট্রাল সার্ভে মার্ক/পাকা পিলার) স্থাপনের স্থান নির্বাচন এবং পিলার স্থাপন কাজ চলছে।
মন্ত্রী বলেন, মানিকগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জে কন্ট্রোল-পয়েন্ট সিলেকশন কাজ শেষ হয়েছে। চট্টগ্রাম ও ধামরাইয়ে স্থান নির্বাচন এ সপ্তাহে শেষ হবে। আগামী সপ্তাহে রাজশাহী এবং কুষ্টিয়ায় বিডিএস কার্যক্রম শুরু হবে। আগামী মাসের শেষ নাগাদ সারা দেশের নির্বাচিত এলাকায় স্যাটেলাইট, ড্রোন ও অন্যান্য ফোর্থ জেনারেশন প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্লট-টু-প্লট জরিপের মাধ্যমে বিডিএস ম্যাপ তৈরির কাজ শুরু হবে বলে মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন। বিশেষ অতিথি ভূমি সচিব মোঃ খলিলুর রহমান প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, নাগরিককে সুষ্ঠু ভূমি সেবা প্রদান করতে এ ধরনের যৌথ প্রশিক্ষণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এতে পারস্পরিক মতবিনিময়ের মাধ্যমে সেবা প্রদানে নতুন আইডিয়া জেনারেট হয়।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ কোরিয়ার অত্যাধুনিক সার্ভে ড্রোন, এয়ারক্রাফট, জিএনএসএস, ইটিএসসহ ডিজিটাল জরিপের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি আগামী ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পৌঁছাবে।
অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত সাংবাদিকবৃন্দের এক প্রশ্নের জবাবে ভূমিমন্ত্রী জানান, ‘মানুষের ভূমির উপর ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করার জন্য আমি কাজ করে যাব’। আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের অন্য একটি প্রকল্পের মাধ্যমে ডিজিটাল ল্যান্ড জোনিং ম্যাপ তৈরি করা হচ্ছে, এর ফলে কৃষিজমি, জলাভূমি, পাহাড় ও বনভূমি রক্ষাসহ জমির পরিকল্পিত ব্যবহার করা সম্ভব হবে’।
ডিএলআরএস-এর মহাপরিচালকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ভূমি মন্ত্রণালয় ও ডিএলআরএস-এর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস-এর প্রশাসন ও পুলিশ ক্যাডার এবং বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিসের ৫৬ জন কর্মকর্তা নিয়ে আয়োজিত ৫১ দিনের এই কোর্সটি আগামী মার্চ মাসে শেষ হবার কথা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিডিএস বাস্তবায়িত হলে ভূমি জরিপ, ভূমি ব্যবস্থাপনা অফিসের মধ্যে নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠাসহ অটোমেশন ব্যবস্থার প্রবর্তন হবে। মৌজা-ম্যাপ ও রেকর্ডের মধ্যে লিংকেজ প্রতিষ্ঠার ফলে ভূমির মালিকগণ সহজেই অনলাইনের মাধ্যমে রেকর্ড ও প্লট দেখার সুযোগ পাবে।