সিনিউজ ডেস্ক: আইএসপিএবির ময়মনসিংহ আঞ্চলিক কমিটির অভিষেক ১৪ মে রোজ শনিবার ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) এর নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদ ও ময়মনসিংহ বিভাগের আঞ্চলিক কমিটির “ সংবর্ধনা ও অভিষেক অনুষ্ঠান” টাউন হল, ময়মনসিংহে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সংবর্ধনা ও অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোস্তাফা জব্বার, মাননীয় মন্ত্রী, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, তিনি তার বক্তব্যে প্রথমেই জাতির পিতার বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এই আয়োজনের জন্য আঞ্চলিক আহŸায়ক কমিটিকে ও সারা বাংলাদেশ থেকে আগত সকল আইএসপিএবি সদস্যদের ময়মনসিংহের মাটিতে আসার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বলেন , তিন বছর আগের বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে বড় অংশ মোবাইল অপারেটরদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। বর্তমানে সেই জায়গা এখন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাদানকারীরা দখল করে নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহার করার ফলে গ্রাহকের আগের যে ব্যান্ডউইথ চাহিদা ছিল, এখন বেড়েছে। এখন মানুষ বেশি বেশি স্পিড খুঁজে। এখন আমরা কথা বলি এমবিপিএস, ভবিষ্যতে আমরা কথা বলব জিবিপিএস।
তিনি আরো বলেন আইটিইএস বাস্তবায়নের জন্য শুরু থেকেই সহযোগিতা করেছি আশা করি বাস্তবায়ন হবে, তাছাড়া জরুরী সেবা হিসেবে ইন্টারনেটকে অন্তরভ’ক্ত করেছি । সার্ভিসের যে কোন ক্ষেত্রে অন্যায় , মাস্তানী বা বাধা প্রদানের ক্ষেত্রে অবশ্যই বিটিআরসি ও মন্ত্রনালয়কে জানানোর কথা বলেন। বড় ব্যবসায়িরা যেন ছোটদের খেয়ে না ফেলে সে দিক বিবেচনা কওে ব্যবস্থাগ্রহন করার কথা বলেন। ব্যবসায়ীদের সবচেয়ে বড় শক্তি হচ্ছে সংগঠন। জনগনের কাছের সংগঠন হচ্ছে আইএসপিএবি, আইএসপিএবির প্রত্যেকটি সদস্য যদি একসাথে সংধবদ্ধ হয়ে মোকাবিলা করে তাহলে কখনো রড়রা ছোটদেরকে খেয়ে ফেলতে পারবেনা।বেআইনি ব্যবসায়ীকে কখনো ব্যবসা করতে দিবেন না, সোনার বাংলা গড়তে ডিজিটাল বাংলাদেশই এর শেষ ঠিকানা।
বিশেষ অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিটিআরসির মহাপরিচালক জনাব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিম পারভেজ তিনি তার বক্তব্যে বলেন এক্টিভ শেয়ারিং ক্ষেত্রে অন্য কোন বিজনেস এর সাথে যেন সাংঘর্ষিক না হয় সে দিকে লক্ষ রেখে আরো পর্যলোচনা করে বিটিআরসির সাথে বসার জন্য বলেন। সরকার যে নীতিমালা দিবে তা পালন করার কথা উল্লেখ করেন ।
অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা আইএসপিএবি সভাপতি ইমদাদুল হক সারাদেশ থেকে অগত সকল সদস্যদেরকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আইএসপিএবির ৬০ জন সদস্য থেকে ২০০০ সদস্যে রুপান্তরে মাননীয় মন্ত্রী ও বিটিআরসিকে সহযোগীতা করার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন গত টাস্কফোর্স এর মিটিং এ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের আইএসপি প্রতিষ্ঠানকে আইটিইএস এর অর্ন্তরভুক্ত করার জন্য দাবি জানিয়েছিলাম মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সম্মতি প্রদান করে স্বাক্ষর করেছেন বলে জানান তাছাড়া দেশজুড়ে যেনো রাজনৈতিক, অ-রাজনৈতিক পেশী শক্তি মুক্ত মান সম্পন্ন ইন্টারনেট সেবা দিতে সরকারের কঠোর পদক্ষেপ কামনা করেন। তিনি আরো বলেন, লাইসেন্স ছাড়া যেনো কেউ ব্যবসায় করতে না পারে এ জন্য আমরা মন্ত্রী মহোদয় এবং বিটিআরসির সহযোগিতা চাই। পাশাপাশি মন্ত্রী মহোদয় ও বিটিআরসি’র সম্মানে আমরা বাধ্য হয়েই এক দেশ এক রেট বাস্তবায়ন করছি। এজন্য এনটিটিএন-দের সহযোগিতা চাই। বড়রা যেন ছোটদের খেয়ে না ফেলে সে জন্য সরকারের নীতিগত সহযোগিতা কামনা করেন।
আইএসপিএবি মহাসচিব নাজমুল করিম ভূঁইয়া তার বক্তব্যে ইন্টারনেট সেবাদাতা আইএসপিরা দেশজুরে অনেক সমস্যায় আছে স্থানীয় সরকার কর্তৃক অনেক এলাকার পৌর মেয়ররা নিজেদের ইচ্ছামত আইন করে প্রতি লাইনে ১০% কর আরোপ করে, ডেসকো, সিটিকর্পোরেশন, পাওয়ার মন্ত্রনালয় যে যার মত ক্যাবল কাটে আমাদের যাবার জায়গা কোথায় এ ব্যপারে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বিটিআরসি ও মন্ত্রনালয়কে অনুরোধ করেন। তাছাড়া শিক্ষা অধিদপ্তরের খাম খেয়ালীপনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, প্রতিটি পদক্ষেপে যদি আমাদের আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের কাছে যেতে হয় সেটা আমাদের জন্য লজ্জার।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সাইফুল ইসলাম সিদ্দিক, সিনিয়র সহ-সভাপতি, আইএসপিএবি, মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম-মহাসচিব-০২, মাহবুব আলম, পরিচালক, আইএসপিএবি, মো: জাকির হোসাইন, পরিচালক, আইএসপিএবি, ফুয়াদ মুহাম্মদ শরফুদ্দিন, পরিচালক, আইএসপিএবি, মো: নাছির উদ্দিন, পরিচালক, আইএসপিএবি।
অভিষেক অনুষ্ঠানে জাতীয় সংগীত গেয়ে ও ডিজিটালি লাল সবুজের পতাকা উড়িয়ে শুরু হয় নতুন কমিটির সংবর্ধনা ও অভিষেক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে ময়মনসিংহ আঞ্চলিক কমিটির সদস্যদের পরিচিত পর্ব শেষে মাননীয় প্রধান অথিতির মাধ্যমে আঞ্চলিক কমিটির আহŸায়ক কাজী সাজ্জাদ হোসেন রতন ও সদস্য কৌশিক দে সরকার, মো:ওয়াহিদ মোরাদ, মো: তৌহিদুল ইসলাম, অলিউর রহমান রিয়াদ, এইউএম ইব্রাহীম এবং মো: উজ্জল হোসেন শপথ নেয়ার পর তাদের হাতে আইএসপিএবির ক্রেস্ট তুলে দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানটি বিকাল ৪:০০ ঘটিকায় শুরু হয়ে নবনির্বাচিত কমিটির পরিচয় পর্ব, প্রধান অতিথি , বিশেষ অতিথি, ও প্রধান বক্তার বক্তব্য শেষে রাত্র ৯:০০ ঘটিকায় ডিনার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশনের মাধ্যমে শেষ হয়।