সিনিউজ ডেস্ক: সোমবার সকাল ৯ ঘটিকা হতে রাত ৮ ঘটিকা পর্যন্ত সারাদিন ব্যাপি ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ( আইএসপিএবি) এর নিজস্ব অফিস কার্যালয় এর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রনালয়ের এর মাননীয় মন্ত্রী, জনাব জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি। তিনি তার বক্তব্যে বলেন স্মার্ট বাংলাদেশের মেরুদণ্ড হবে আইএসপিএবি। গত ১৫ বছরে বাংলাদেশে ইন্টারনেট বিপ্লবে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে আইএসপি’র ৩ হাজার উদ্যোক্তা। করোনায় তাদের প্রত্যেকে যোদ্ধার ভূমিকা রেখেছে।
অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো দুর্ঘটনা ঘটার আগেই নগর থেকে ইন্টারনেটের ঝুলন্ত তার মাটির তলদেশ নিয়ে যেতে আইএসপি উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। একইসঙ্গে আইএসপি উদ্যোক্তারা আরো দক্ষ হয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে মেরুদণ্ডের ভূমিকা পালন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। এসময় আইএসপিএবির স্থায়ী কার্যালয়ে একটি শেখ রাসেল কম্পিউটার ল্যাব স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দেন প্রতিমন্ত্রী। এছাড়াও এসওএফ তহবিল থেকে কীভাবে আইএসপি সদস্যদের অধিকার প্রতিষ্ঠা, অ্যাক্টিভ শেয়ারিং, লাইসেন্স নবায়ন এবং সাইবার সুরক্ষা নিশ্চিত করে সিডিএন সমস্যার সমাধান নিয়ে বিটিআরসি-কে পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি আরো বলেন, ১৭ কোটি মানুষকে ব্রডব্যন্ড ইন্টারনেটে আনতে চাই। পাবলিক প্রাইভেট অংশীদারিত্বে আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে ইউনিয়ন পর্যায়ে এক লাখ সংযোগ দেয়া হবে। এজন্য আপনাদের আরো দক্ষ হতে হবে। বিটিআরসি অভিভাবক হিসেবে আইএসপি ব্যবসাকে টেকসই করবে। তাদের মাধ্যমে গ্রামে গ্রামে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পৌঁছে দেয়া হবে। বিটিআরসি’র নিয়ম অনুযায়ী, আইএসপি’রা তিন কিলোমিটার পর্যন্ত মাটির নিচ দিয়ে লাইন টেনে ঝুলন্ত তার শুন্যে নামিয়ে আনার অনুরোধ জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আইএসপি ডিশ ব্যবসা নয়। এখানে দক্ষ ও মেধাবী হতে হবে। তাই পেশাদারিত্বে আপনাদের স্মার্ট হতে হবে। নীতিমালা ও গাইড লাইন সময়োপযোগী করতে হবে। আপনারা আপনাদের প্রয়োজন ধরিয়ে দেবেন। আমরা আপনাদের চাহিদা অনুযায়ী আইন সংশোধন করবো।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইএসপিএবি সভাপতি জনাব ইমদাদুল হক তিনি সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে আইএসপিএবির নিজস্ব স্থায়ী অফিসের উদ্ভোদনী অনুষ্ঠানে সময় দেয়ার জন্য মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন আমরা এই পর্যন্ত যা চেয়েছি তার আমরা সবই পেয়েছি কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে গাইডলাইন জটিলতার কারনে আমরা আমাদের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। প্রয়োজনে গাইডলাইন সংশোধন করে বাস্তবতার নিরিখে আমাদের সদস্যদের ন্যয্য দাবীগুলো মেনে নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহব্বান জানান।
বিটিআরসির অনুমতি সাপেক্ষে আমরা রাজধানীর ধানমন্ডিতে একটিভ শেয়ারিং এর কাজ করেছি। ৪০০০ গ্রাহক স্মার্ট কানেক্টিভিটি এর মাধ্যমে এর সুফল ভোগ করতেছে। এর জন্য কোন অধিক চার্জ প্রদান করতে হয়না। এনটিটিএন যদি সহযোগিতা করে তাহলে লাস্ট মাইল তিন কিলোমিটার পর্যন্ত আমরা একটিভ শেয়ারিং করতে পারি তাহলে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ অতিদ্রুততার সঙ্গে বাস্তবায়ন করতে পারব। তিনি আরো বলেন ক্যাশ সার্ভিস গ্রাহকের যত কাছাকাছি থাকবে গ্রাহক তত ভাল সেবা পাবে। লাইসেন্স আপগ্রেডেশন করার জন্য ডিভিশনাল, জেলা ও থানা আইএসপিদের যোগ্যতা অনুযায়ী বিবেচনায় নিয়ে লাইসেন্স আপগ্রেডেশন করার জন্য বিটিআরসিকে অনুরোধ করেন। আইএসপি ব্যবসায়ীদের জন্য ১% এস ও এফ ফান্ডের বিষয়টি আরো কয়েক বছর পর বিবেচনায় নেয়ার জন্য মাননীয় মন্ত্রী ও চেয়ারম্যান মহোদয়ের দৃষ্ঠি আকর্ষণ করেন। ইডিসি প্রজেক্টের ৪০০ কোটির টাকার কাজ আইএসপিদের দেয়ার জন্য আবারো মাননীয় মন্ত্রীমহোদয়কে ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক নাজমুল করিম ভূঁইয়া ও ডিরেক্টর মো. জাকির হোসাইন বক্তব্য রাখেন। বক্তব্য শেষে ফিতা ও কেক কেটে স্থায়ী কার্যালয় আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।