সিনিউজ ডেস্ক: ফাইন্যান্সিয়াল ইকোসিস্টেমের উন্নয়নে অবদান রাখায় মাস্টারকার্ড এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৩ অর্জন করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় ট্রাভেল-টেক প্ল্যাটফর্ম শেয়ারট্রিপ।
রাজধানী ঢাকার রেডিসন ব্লু হোটেলে গত শনিবার ‘মাস্টারস অব ইভোল্যুশন’ থিমে আয়োজিত হয় মাস্টারকার্ড এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড। একইসাথে মাস্টারকার্ড বাংলাদেশ অফিসের ১০ বছর পূর্তি উদযাপন করা হয়। এ বছর আর্থিক খাতে উদ্ভাবনের স্বীকৃতি হিসেবে ভিন্ন ভিন্ন ক্যাটাগরিতে ৪৪ জন বিজয়ী মাস্টারকার্ড এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে। শেয়ারট্রিপ ‘এক্সেলেন্স ইন মাস্টারকার্ড বিজনেস (মার্চেন্ট) – অনলাইন’ ক্যাটাগরিতে এ পুরস্কার পেয়েছে।
শেয়ারট্রিপের পক্ষ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন প্রতিষ্ঠানটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও সাদিয়া হক। এসটি পে’র প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও কাশেফ রহমান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তাঁর বক্তব্যে একটি শক্তিশালী ফাইন্যান্সিয়াল ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা ও প্রবৃদ্ধি বজায় রাখার ক্ষেত্রে সহযোগিতা ও উদ্ভাবনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন কাশেফ রহমান।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও উন্নয়ন সমন্বয়ের চেয়ারম্যান আতিউর রহমান; বাংলাদেশে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন লা-ফেইভ; বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম ডিপার্টমেন্টের পরিচালক মো. শরাফত উল্লাহ খান এবং ফরেন এক্সচেঞ্জ পলিসি ডিপার্টমেন্টের পরিচালক মো. সারোয়ার হোসেন।
ভ্রমণ-সংক্রান্ত প্রযুক্তির বিকাশ ঘটাতে এবং এ সংশ্লিষ্ট সেবা সকল মানুষের জন্য সহজলভ্য করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে শেয়ারট্রিপ। এর ধারাবাহিকতায় প্রাযুক্তিক সক্ষমতা কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন উদ্ভাবন নিয়ে আসছে শেয়ারট্রিপ। সম্প্রতি ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করতে নানা ধরনের সুবিধাজনক ফাইন্যান্সিয়াল টুলসের সমন্বয়ে এসটি পে নিয়ে এসেছে এই ট্রাভেল-টেক প্ল্যাটফর্ম। এই খাতের বিকাশ ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে ধারাবাহিক প্রচেষ্টার স্বীকৃতি হিসেবে এই পুরস্কার অর্জন করলো শেয়ারট্রিপ।
এ বিষয়ে শেয়ারট্রিপের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও সাদিয়া হক বলেন, “ক্যাশলেস সমাজ নির্মাণের ভিত্তি হলো নিরাপদ ও নিরবচ্ছিন্ন ডিজিটাল লেনদেন। এরকম একটি বৃহৎ প্ল্যাটফর্ম থেকে আমাদের কাজের স্বীকৃতি পাওয়ায় আমরা অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত। ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসি ও মাস্টারকার্ডের সহযোগিতায় উদ্ভাবিত কো-ব্র্যান্ডেড ক্রেডিট কার্ড স্কাইট্রিপের জন্য আমরা এই স্বীকৃতি অর্জন করেছি। এই স্বীকৃতি একটি নিরবচ্ছিন্ন ও স্মার্ট আর্থিক খাত তৈরির ক্ষেত্রে আমাদের প্রতিশ্রুতির বহিঃপ্রকাশ।”