সিনিউজ ডেস্ক: প্রবাসে থাকা স্বামী মিজানুর রহমানের কাছে অনেকদিন ধরেই ডায়মন্ডের নাকফুল আবদার করেছেন কক্সবাজারের টুম্পা। সময় সুযোগ মিলিয়ে সেই নাকফুল আর কেনা হয়নি, তবে স্ত্রীর বিকাশ অ্যাকাউন্টে রেমিটেন্স পাঠিয়ে জিতে নিয়েছেন ডায়মন্ডের লকেট।
দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসী মিজান বলেন, “নিয়মিতই স্ত্রী, বাবা, ভাইয়ের বিকাশ অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাই। যাকে পাঠাতে চাই তাকেই পাঠাতে পারি আবার যখন প্রয়োজন ঠিক তখনই পাঠাতে পারার জন্য বিকাশই ভরসা। আর বিকাশের ক্যাম্পেইন থেকে ডায়মন্ডের লকেট পেয়ে স্ত্রীর আবদার পূরণ করতে পারায় আরো ভালো লাগছে।”
শুধু মিজান নন, তার মতো আরো ২৭ ভাগ্যবান প্রতিদিন বিকাশের মাধ্যমে একক লেনদেনে সর্বোচ্চ রেমিটেন্স পাঠিয়ে জিতে নিয়েছেন ডায়মন্ডের লকেট। বিকাশের পক্ষ থেকে বিজয়ী প্রবাসীর দেশে থাকা প্রিয়জনের কাছে লকেট হস্তান্তর করা হয়েছে। সারা বিশ্ব থেকে বৈধ উপায়ে রেমিটেন্স পাঠানোকে আরো উৎসাহিত করতে এবছর ফেব্রুয়ারি মাসে ২৮ দিনের এই ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হয়।
সম্প্রতি (সোমবার) বিকাশের প্রধান কার্যালয়ে ডায়মন্ডের লকেট জয়ী রেমিটেন্স যোদ্ধা পরিবারের হাতে পুরস্কার তুলে দেন বিকাশের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার আলী আহম্মেদ।
অনুষ্ঠানে পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রবাসীদের প্রিয়জনরা বলেন, বিকাশে রেমিটেন্স পাঠালে প্রবাসে থাকা প্রিয়জনের সময় যেমন বাঁচে তেমনি আমরাও ব্যাংকে না গিয়ে ঘরে বসেই নিজের বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু ব্যবহার করতে পারি। তাৎক্ষণিক এবং ঝামেলামুক্ত বিকাশের এই রেমিটেন্স সেবা নিরাপদ। পাশাপাশি, বৈধ পথে রেমিটেন্স গ্রহণ করার মাধ্যমে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ শক্তিশালী হচ্ছে বলে আমাদেরও ভালো লাগছে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থেকে মানি ট্রান্সফার সংস্থা-বাংলাদেশ ব্যাংক-বাণিজ্যিক ব্যাংক হয়ে বিকাশ অ্যাকাউন্টে রেমিটেন্স পাঠাতে পারেন প্রবাসীরা। এ মুহূর্তে প্রায় ৯৫টি দেশ থেকে ৮০টির বেশী মানি ট্রান্সফার কোম্পানি হয়ে দেশের ১৫টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয় এই রেমিটেন্স। প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতার কারণে পুরো প্রক্রিয়াটি তাৎক্ষণিক হয় ফলে প্রবাসী রেমিটেন্স পাঠানোর সাথে সাথেই তার স্বজনরা বিকাশ অ্যাকাউন্টে রেমিটেন্স পেয়ে যান।