সিনিউজ ডেস্ক: উদ্ভাবনী তরুণদের ডিজিটাল পরিকল্পনার প্রতিযোগিতা বাংলালিংক ইনোভেটর্স-এর ষষ্ঠ আসরের গ্র্যান্ড ফিনালে সোমবার রাতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারের আসরের তিন বিজয়ীর দলের নাম গ্র্যান্ড ফিনালেতে ঘোষণা করা হয়। মাননীয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটিতে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলালিংক-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরিক অস, বাংলালিংক-এর চিফ হিউম্যান রিসোর্সেস অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অফিসার মনজুলা মোরশেদ ও প্রতিষ্ঠানটির অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
বারো সপ্তাহ ব্যাপী এই প্রতিযোগিতায় দেশের নানা প্রান্তের প্রতিভাবান তরুণরা বুট ক্যাম্প. গ্রুমিং, ওয়ার্কশপ ও অন্যান্য প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের প্রতিভা বিকাশ ও দক্ষতা বৃদ্ধির সুযোগ পায়। চার সদস্য বিশিষ্ট মোট পাঁচটি দল গ্র্যান্ড ফিনালেতে তাদের পরিকল্পনা উপস্থাপন করে। এই পাঁচটি দলের মধ্যে থেকে সেরা তিনটি দলকে নির্বাচিত করে গ্র্যান্ড ফিনালের জুরি বোর্ড।
চ্যাম্পিয়ন দল ‘উই শোড আপ’ বাংলালিংক-এর পৃষ্ঠপোষকতায় নেদারল্যান্ডের অ্যামেস্টারডামে অবস্থিত বাংলালিংকের স্বত্বাধিকারী কোম্পানি ভিওন-এর প্রধান কার্যালয় পরিদর্শনের সুযোগ পেয়েছে। প্রথম রানার আপ দল ‘দ্যা কনট্রাইভার্স’ ও দ্বিতীয় রানার-আপ দল ‘টিম সুপারলেটিভস’-এর সদস্যরা পেয়েছে আকর্ষণীয় পুরস্কার। এছাড়া সেরা তিন দলের সব সদস্য বাংলালিংক-এর ফ্ল্যাগশিপ স্ট্র্যাটেজিক অ্যাসিস্টেন্ট প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে পারবে।
শীর্ষ পাঁচটি দলের সকল অংশগ্রহণকারীদের বাংলালিংকের অ্যাডভান্সড ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামে সুযোগ দেওয়া হবে। তারা বাংলালিংকের বিভিন্ন উদ্যোগ এবং প্রোগ্রামে অংশ নিতে পারবে যা তরুণদের স্টার্ট-আপ এবং কর্পোরেট অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ দিবে।
মাননীয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, “তরুণদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে পরিচালিত বাংলালিংক-এর বিভিন্ন উদ্যোগ তরুণদেরকে উদ্ভাবনী হতে অনুপ্রেরণা দিয়ে আসছে। এই কর্মসূচি থেকে পাওয়া শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে তারা নিজেদেরকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য প্রস্তুত করে তুলতে পারবে। বাংলালিংক-এর এই উদ্যোগের ফলাফল দেখে আমি সত্যিই আনন্দিত। আগামীতে আমি এটির আরও সাফল্য কামনা করি।””
বাংলালিংক-এর চিফ হিউম্যান রিসোর্সেস অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অফিসার মনজুলা মোরশেদ বলেন, “ষষ্ঠ আসর সম্পন্ন করা দেশের সবচেয়ে বড় ডিজিটাল পরিকল্পনার প্রতিযোগিতা ইনোভেটর্স এবার রেকর্ড সংখ্যক রেজিস্ট্রেশনসহ অভাবনীয় সাড়া পেয়েছে। এই জন্য আমি এবারের সব প্রতিযোগীকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাত চাই। তাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছাড়া এই প্রতিযোগিতা নতুন এই উচ্চতায় পৌঁছাতে পারতো না। আমরা সেরা তিন দলকেও অভিনন্দন জানাতে চাই। প্রতিভাবান তরুণদেরকে খুঁজে তাদের প্রতিভা বিকাশে সাহায্য করার আমাদের যে লক্ষ্য, তা এই প্রতিযোগীরা পূরণ করে চলেছে।”
প্রথম আসর থেকে ইনোভেটর্স-এ এই পর্যন্ত ১০০,০০০-এরও বেশি উদ্ভাবনী তরুণ অংশগ্রহণ করেছে।