সিনিউজ ডেস্ক: মহাকাশ বিজ্ঞান, স্পেস রোবটিক্স, স্পেস টেকনলোজি এবং ইনোভেশন, সোলার সিস্টেম, জ্যোতির্বিদ্যা, তারা এবং নাক্ষত্রিক ঘটনা সমুহ, গ্যালাক্সি, স্পেস প্রোগ্রামিং এবং কসমোলজি নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের অগ্রহী করে গড়ে তুলতে বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরাম এবং স্পেস ইনোভেশন ক্যাম্প এর উদ্যোগে দেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে “স্পেস এক্সপ্লোরেশন অলিম্পিয়াড” এই উপলক্ষ্যে ঢাকায় আজ একটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
৬ থেকে ১৪ বছর বয়সি বাচ্চারা ৩ টি গ্রুপে এই অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহন করতে পারবে। উদ্বোধনের আগে ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বিজ্ঞান ভিত্তিক বিভিন্ন ধরনের এক্টিভিটি কেন গুরুত্বপুর্ন তা নিয়ে একটি রাউন্ড টেবিল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
আয়োজনটিতে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রোবট অলিম্পিয়াড কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াড কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবটিক্স অ্যান্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের অধ্যাপক ড. লাফিফা জামাল। সেই সাথে অতিথি হিসেবে আরোও উপস্থিত ছিলেন আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর উপ–উপাচার্য মো. আবদুর রহমান, ইইসিএস (এমআইটি) তে পিএইচডি এবং এসএম || ইইই (বুয়েট) তে বিএসসি) এবং বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাদিম চৌধুরী, বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান, স্পেস এক্সপ্লোরেশন অলিম্পিয়াড এর ইউএসএ কান্ট্রি হেড মোহাম্মাদ মাহাদী উজ জামান, ইংলিশ অলিম্পিয়াডের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আমানুল্লাহ, ওয়ার্ল্ড রোবট অলিম্পিয়াড-বাংলাদেশ এর সাধারণ সম্পাদক ও কান্ট্রি হেড রেদওয়ান ফেরদৌস, ল্যাবরেটরি অফ স্পেস সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির রিসার্চ এসোসিয়েট, স্কুল অফ ইঞ্জিনিয়ারিং, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির আব্দুল্লাহ হিল কাফি, ক্রিয়েটিভ বিজনেস গ্রুপের চিফ অপারেটিং অফিসার জিয়া উদ্দিন মাহমুদ, নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ- ২০১৮ এর বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের ‘টিম অলিক’ এর টিম লিড আবু সাবিক মাহাদি এবং ২০২২ এর বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের ‘টিম ডায়মন্ড’ এর টিম লিড তিশা খন্দকার।
প্রধান বক্তা ড. লাফিফা জামাল বলেন, “আমাদের শিশু-কিশোররা মেধাবি তাই আমরা এই ছোট বয়স থেকেই যদি মহাকাশ নিয়ে এই ধরনের কাজে তাদেরকে সম্পৃক্ত করতে পারি তবে ভবিষৎ এ আমাদের দেশের বাচ্চারাদের মধ্য থেকেই আমরা আমাদের স্বপ্নের বাস্তব রুপ দেখতে পারবো। মহাকাশ গবেষনায় আমরাও একদিন বহুদুর এগিয়ে যাবো।
আয়োজনটি সম্পর্কে স্পেস এক্সপ্লোরেশন অলিম্পিয়াড এর বাংলাদেশের প্রধান আরিফুল হাসান অপু বলেন_ “আমি দেখেছি যে মহাকাশ অনুসন্ধানের গল্পগুলি শিশুদের উপর গভীর প্রভাব ফেলে৷ এই দু: সাহসিক কাজ, কৌতূহল এবং বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের গল্পগুলি কেবল বাচ্চাদের কল্পনাকেই বিমোহিত করে না বরং এটি একটি মূল্যবান শিক্ষামূলক অভিজ্ঞতাও তাদের জন্য ৷ এই গল্পগুলির মাধ্যমে, শিশুরা মহাবিশ্বের বিস্ময়গুলি খুজতে থাকে এবং প্রয়োজনীয় সমস্যা সমাধানের বিষয়গুলো সম্বন্ধে জানার চেষ্টা করে।”
আয়োজনটিতে সহ-আয়োজক হিসেবে থাকছে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর, একাডেমিক পার্টনার আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এবং নলেজ পার্টনার ক্রিয়েটিভ জুনিয়র।
স্পেস এক্সপ্লোরেশন অলিম্পিয়াড এ অংশগ্রহনের জন্য রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে এই ঠিকানায় www.spaceolympiadbd.com