সিনিউজ ডেস্ক:অসলোর ফরনেবুতে অবস্থিত টেলিনর গ্রুপের গ্লোবাল হেড কোয়ার্টারে টেলিনর গ্লোবাল ফোরামের সর্বশেষ ‘টেলিনর গ্লোবাল অ্যাওয়ার্ডস’ -এ ‘পিপল অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছে গ্রামীণফোন। গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে ভার্চুয়ালভাবে এই সম্মাননা গ্রহণ করেন প্রতিষ্ঠানটির সিইও ইয়াসির আজমান।
পিপল অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয় মূলত তিন ভাগে যাচাই করে – প্রথমত, লার্নিং কালচার ও আপস্কিলিং; দ্বিতীয়ত, নিরপদ কর্ম পরিবেশ; এবং সবশেষে, এমপ্লয়ি এনগেজমেন্ট ও প্রতিষ্ঠানের আধুনিকীকরণ। এই তিন ক্ষেত্র সংশ্লিষ্ট সকল ব্যবসা ইউনিটের বিভিন্ন উদ্যোগের গুণগত মান ও সংখ্যা যাচাই বাছাই করে টেলিনর গ্রামীণফোনকে সম্মানজনক এই পুরস্কারের বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করে।
গত বছর আপস্কিলিং ও ভবিষ্যৎ উপযোগী সক্ষমতা অর্জনের মাধ্যমে নিজেদেরকে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে এগিয়ে ছিলো গ্রামীণফোন। লার্নিং ও এজাইল সংস্কৃতিকে উৎসাহিত করার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানে কার্যকর পরিবর্তন আনার মতো উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়ে গ্রামীণফোন একটি কর্মতৎপর প্রতিষ্ঠানে পরিণত হওয়ার ক্ষেত্রে অনেক এগিয়েছে। এ সময়ে দুইশো’র বেশি বিশেষজ্ঞ কর্মীকে বিভিন্ন বিষয়ে আপস্কিল করে প্রতিষ্ঠানটি। নতুন স্কিল্ শেখার ক্ষেত্রে কর্মী প্রতি গড়ে ৪০ ঘণ্টার চ্যালেঞ্জের বিপরীতে গড়ে ৬১.৮ ঘণ্টা ব্যয় করে টেক সার্ভিস লিডার এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের কানেক্টিভিটি পার্টনার গ্রামীণফোন। প্রতিষ্ঠানটি কর্মীদের বিভিন্ন শীর্ষস্থানীয় লার্নিং প্ল্যাটফর্ম থেকে নানাবিধ কোর্স শেখা ও দক্ষতা অর্জনে বাবস্থা করে। সুরক্ষা ও নিরাপদ কর্ম পরিবেশের ওপর বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করে গ্রামীণফোন কর্মীদের সাথে নিয়ে সক্ষমতার সূচকে আগের বছরের তুলনায় এগিয়ে রয়েছে। বৈশ্বিক মহামারি চলাকালীন ভ্যালু চেইনের সকল কর্মীকে সুরক্ষিত রাখার ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে এবং প্রতিষ্ঠানে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় উদাহরণ হিসেবে কাজ করেছে।
অনুষ্ঠানে টেলিনর গ্রুপের ইভিপি এবং চিফ পিপল অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি অফিসার সিসিলি হিউক বিজয়ীর নাম ঘোষণা করেন এবং পরিশ্রমী ও উদ্যমী কর্মীদের কাজের ক্ষেত্র হিসেবে গ্রামীণফোনকে অভিনন্দন জানান।
গ্রামীণফোনের প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা সৈয়দ তানভির হুসাইন বলেন, “কোভিডের কারণে গ্রাহকদের জন্য প্রয়োজনীয় কানেক্টিভিটি চাহিদা পূরণে এবং সেবার মাধ্যমে তাদের সন্তুষ্টি অর্জনের ক্ষেত্রে গত বছর গ্রামীণফোনে আমাদের সকলের জন্য উল্লেখযোগ্য একটি বছর ছিলো। আমাদের বিশ্বাস, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের এই যুগে গ্রাহকদের সবচেয়ে উন্নত সেবা প্রদানের উপায় হচ্ছে সুরক্ষা এবং নিরাপদ কর্ম পরিবেশকে প্রাধান্য দেয়ার মাধ্যমে সঠিক কর্মী, দক্ষতা, সক্ষমতা, সংস্কৃতি ও নেতৃত্ব সমৃদ্ধ ভবিষ্যত উপযোগী একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হওয়া। নিজেদের ছাড়িয়ে যাবার পথে আমাদের নিষ্ঠা ও প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি দিয়েছে টেলিনর, এজন্য আমরা আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। আমাদের সকল লিডার ও কর্মী, আমরা সবাই মিলে সম্মিলিতভাবে এ স্বীকৃতি অর্জন করেছি।”