সিনিউজ ডেস্ক: জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম টিকটক, সম্প্রতি গ্লোবাল ইয়ুথ লিডারশিপ সেন্টারের (জিওয়াইএলসি) সাথে জলবায়ু নিয়ে কাজ শুরু করেছে। জিওয়াইএলসি একটি আন্তর্জাতিক অলাভজনক সংস্থা যা জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় বিশ্বের তরুনদের একত্র করে। জিওয়াইএলসি এর সাথে পার্টনারশিপের মধ্য দিয়ে টিকটক চালু করেছে ‘টিকটক ফর ক্লাইমেট অ্যাকশন’ ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইনটির কর্মসূচি চলবে সারা বছরজুড়ে। যেখানে বাংলাদেশের তরুণদের দেয়া হবে জলবায়ু বিষয়ক শিক্ষা এবং শেখানো হবে লিডারশিপ ডেভেলপমেন্ট। রূপান্তরমূলক প্রকল্পের জন্য লোকাল এক্সিকিউটিং পার্টনার হিসেবে এতে কাজ করবে বাংলাদেশ ইয়ুথ লিডারশিপ সেন্টার (বিওয়াইএলসি)।
‘টিকটক ফর ক্লাইমেট অ্যাকশন’ উদ্যোগে আয়োজন করা হবে ১০টি কর্মশালা। এতে যুক্ত থাকবেন বহু শিক্ষাবিদ, জলবায়ু বিজ্ঞানী, মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং সরকারী পর্যায়ের ব্যাক্তিবর্গ। অন্তর্ভুক্তিকরণ, যোগাযোগ স্থাপন এবং সক্রিয় নাগরিকত্ব সম্পর্কে বাংলাদেশের তরুণ-তরুণীদের উৎসাহিত করতে এই কর্মশালাগুলো একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে।
টিকটক প্ল্যাটফর্ম মতামত প্রকাশের জন্য একটি মাধ্যম হয়ে উঠেছে। পরিবেশ এবং টেকসই খাতের জরুরী বিষয়গুলো অনেকেই তুলে ধরছেন এই প্ল্যাটফর্মে। যেখানে টিকটক কমিউনিটির ক্রিয়েটররা কথা বলে থাকে সচেতনতা বৃদ্ধি, অনুপ্রেরণামূলক পদক্ষেপ এবং পৃথিবীকে উন্নত করার জন্য। এনার্জি-সেইভিং, টেকসই উন্নয়ন, উন্নত জীবনযাত্রা এবং দৈনন্দিন বর্জ্য নির্মূল সম্পর্কে পরামর্শ দিয়ে থাকে টিকটকের ক্রিয়েটররা এবং প্রতিষ্ঠানগুলো। সাসটেইনেবিলিটি এবং ক্লাইমেট অ্যাকশন নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে টিকটক বিশ্বজুড়ে চালাচ্ছে #ClimateAction ক্যাম্পেইন। যার মাধ্যমে অন্য কমিউনিটিগুলো জলবায়ু বিষয়ক কথোপকথনে এবং পদক্ষেপ গ্রহনে যুক্ত হতে পারছে। কপ-২৬ এর প্রচারাভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে বিশ্বব্যাপী ২ বিলিয়ন ভিডিও ভিউ হয়েছে হ্যাশট্যাগ ক্লাইমেট অ্যাকশন।
বাংলাদেশে অন্যতম একটি উদ্বেগের বিষয় হল জলবায়ু পরিবর্তন। এটি মোকাবিলার উদ্দেশ্যে দেশজুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে শিক্ষামূলক কর্মশালা চালু করা হবে। কর্মশালার সেশনগুলোর লক্ষ্য হল জলবায়ু-সম্পর্কিত সমস্যাগুলো অংশগ্রহনকারীদের গভীরভাবে বোঝানো। এছাড়া, ব্যক্তিগত এবং পদ্ধতিগত উভয় স্তরে কার্যকর পদক্ষেপগুলো নিয়ে এই কর্মশালায় কাজ করা হবে। সর্বোপরি, এই উদ্যোগটি বাংলাদেশের তরুণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে অন্তর্ভুক্তিকরণ, সংযোগ বৃদ্ধি এবং সক্রিয় নাগরিকত্বকে উৎসাহিত করবে।