সিনিউজ ডেস্ক: কোক স্টুডিও বাংলার তৃতীয় সিজনের অফিশিয়াল এন্টারটেইনমেন্ট পার্টনার হয়েছে টিকটক। প্রথমবারের মতো কোক স্টুডিওর সাথে টিকটক এই পার্টনারশিপ করেছে। সঙ্গীত ও বিনোদনকে ভিন্ন আঙ্গিকে তুলে ধরার জন্য বিখ্যাত কোক স্টুডিও বাংলা এদেশ এবং দেশের বাইরের লাখ লাখ মানুষের হৃদয় জয় করেছে। আধুনিক গানের ধারার সাথে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী গানের নতুন সংমিশ্রণ এনেছে কোক স্টুডিও বাংলা। যা আন্তর্জাতিকভাবেও প্রশংসা অর্জন করেছে।
নতুন এই পার্টনারশিপের আওতায়, কোক স্টুডিও বাংলার বিহাইন্ড-দ্য-সিন এর ফুটেজ, শিল্পীদের সাক্ষাৎকার এবং অন্যান্য আকর্ষণীয় সব কনটেন্ট টিকটকে শেয়ার করা হবে বিশেষভাবে। যার মধ্য দিয়ে সঙ্গীত শিল্পী এবং দর্শকদের মধ্যকার সম্পর্ক আরও গভীর হবে, একইসাথে ভক্তরা তাদের প্রিয় গানগুলোর সৃষ্টির পিছনের দারুণ গল্পগুলো সম্পর্কে জানতে পারবে।
কোক স্টুডিও বাংলা ইতিমধ্যে ডিজিটাল এনগেজমেন্ট তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে। সিজনের শুরু থেকে তাদের টিকটক অ্যাকাউন্টটি ১,০০,০০০ এরও বেশি ফলোয়ার অর্জন করেছে। পাশাপাশি, টিকটক কোক স্টুডিও বাংলার জন্য একটি ডেডিকেটেড ল্যান্ডিং পেজের সুবিধাও দিয়েছে। এখানে টিকটক ইউসাররা যেকোনো সময় কোক স্টুডিও বাংলার সর্বশেষ আপডেট জানতে পারবে এবং প্রিয় শিল্পীদের ফলো করতে পারবে। এছাড়াও এই ল্যান্ডিং পেজে নতুন গান রিলিজ সম্পর্কে জানা যাবে এবং সাউন্ডট্র্যাকগুলো ব্যবহার করা যাবে।
এই পার্টনারশিপ সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে টিকটকের দক্ষিণ এশিয়ার হেড অফ কনটেন্ট অপারেশন, পূজা দত্ত বলেন, “আমরা কোক স্টুডিও বাংলার তৃতীয় সিজনের জন্য পার্টনারশিপ করতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত। এই পার্টনারশিপ বাংলাদেশের প্রাণবন্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে তুলে ধরার পাশাপাশি আমাদের কমিউনিটিকে আরও সমৃদ্ধশালী করবে এবং আকর্ষণীয় সব কনটেন্ট নিশ্চিতে আমাদের প্রতিশ্রুতিকেও তুলে ধরবে।”
কোকা-কোলা বাংলাদেশ লিমিটেডের কান্ট্রি ম্যানেজার জু-উন নাহার বলেন, ” বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি, বৈচিত্র্যময় সঙ্গীত এবং মানুষের প্রতি কোকাকোলার ভালবাসাই কোক স্টুডিও বাংলা প্রতিষ্ঠায় ভুমিকা রেখেছে। টিকটকের মত সৃজনশীল একটি প্ল্যাটফর্ম আমাদের গানের গল্পগুলোকে তুলে ধরতে এবং একে আরও এগিয়ে নেয়ার জন্য একটি উপযুক্ত জায়গা। আমরা মনে করি, এই পার্টনারশিপের মাধ্যমে আমাদের কনটেন্টগুলো আরও নতুন এবং আকর্ষণীয় উপায়ে দর্শকদের কাছে পৌঁছে যাবে।”
এই যৌথ উদ্যোগ শুধুমাত্র দর্শকদের সম্পৃক্ততাকেই বাড়িয়ে তুলবে না, বরং সঙ্গীত মাধ্যমে নিয়ে আসবে নতুনত্ব। মিউজিক প্ল্যাটফর্ম এবং প্রযুক্তির প্রতিষ্ঠানগুলো একসাথে ভিন্ন ধারার কনটেন্ট তৈরিতে দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে এই পার্টনারশিপ।