সিনিউজ ডেস্ক: (বাম থেকে ডানে) স্পেশাল অলিম্পিক্স বাংলাদেশের হেড অব ডেলিগেশনের ন্যাশনাল ডিরেক্টর ফারুকুল ইসলাম, ট্রেজারার মমতাজ সুলতানা ও চেয়ারম্যান ডা: শামীম মতিন চৌধুরী এবং এয়ারটেল বাংলাদেশ লিমিটেডের চিফ সার্ভিস অফিসার রুবাবা দৌলা, হেড অব পিআর এন্ড আইসি শমিত মাহবুব শাহাবুদ্দিন, ট্রেড মার্কেটিং ম্যানেজার মো: ওয়াহিদুর রহমান। বাংলাদেশের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল টেলিকম অপারেটর এয়ারটেল বাংলাদেশ লিমিটেড স্পেশাল অলিম্পিক্স ওয়ার্ল্ড সামার গেমস্ এ বাংলাদেশী অংশগ্রহনকারীদের সহযোগিতা দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে । এয়ারটেল বাংলাদেশ লিমিটেডের চিফ সার্ভিস অফিসার রুবাবা দৌলা একটি স্পন্সরশীপ চেক স্পেশাল অলিম্পিক্স বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান ডা: শামীম মাতিন চৌধুরীর হাতে হস্তান্তর করেন। স্পেশাল অলিম্পিক্স বাংলাদেশের হেড অব ডেলিগেশনের ন্যাশনাল ডিরেক্টর ফারুকুল ইসলাম এবং স্পেশাল অলিম্পিক্স বাংলাদেশের ট্রেজারার ও “বিউটিফুল মাইন্ড” এর ভাইস প্রিন্সিপাল মমতাজ সুলতানার উপস্থিতিতে চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানটি বনানীস্থ তাজওয়ার সেন্টারের এয়ারটেল বাংলাদেশের হেড অফিসে অনুষ্ঠিত হয়।
স্পেশাল অলিম্পিক্স ওয়ার্ল্ড সামার গেমস্ এর প্রতিভাবান অংশগ্রহনকারীরা বদ্ধমূলধারনাগত বাধাগুলো অতিক্রম করে বিজয়ী হতে চান। অংশগ্রহনকারীরা বিশ্বের বৈষম্যগুলো দূর করার চ্যালেঞ্জ নিয়ে নিজেদের দক্ষতা প্রমাণে প্রস্তুত । এ বছর প্রতিযোগিতাটি লস্ অ্যাঞ্জেলস এ ২০১৫ সালের ২৫ জুলাই শুরু হয়ে শেষ হবে ২ আগস্ট।
বাংলাদেশ থেকে ৮০ জন প্রতিযোগী বিকেএসপিতে চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রশিক্ষণ নিচ্ছে লস অ্যাঞ্জেলসে অংশগ্রহণ করার জন্য। এয়ারটেল মানুষের ক্ষমতায়ন দর্শনে বিশ্বাসী হয়ে এই স্পেশাল অলিম্পিয়ানদের অর্থনৈতিকভাবে সাহায্য করছে। এয়ারটেল এই ৮০ জনের অংশগ্রহণ ও প্রশিক্ষণ বাবদ খরচের একটি অংশ বহন করবে। বাংলাদেশে ¯েপশাল অলি¤িপক্স এর শুরু হয় ১৯৯৪ সালে কিন্তু বাংলাদেশী প্রতিযোগীরা ¯েপশাল অলি¤িপক্স ওয়ার্ল্ড সামার গেমস্ এ অংশগ্রহণ শুরু করেন ১৯৯৫ সাল থেকে। তারপর থেকে বাংলাদেশ প্রতিটি ওয়ার্ল্ড সামার গেমস্ এ অংশগ্রহণ করেছে। এই সকল টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের অলি¤িপয়ানরা প্রচুর পদক জিতে নিয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে ১০০ এর বেশী স্বর্ণপদক।
এয়ারটেল বাংলাদেশ লিমিটেডের চিফ সার্ভিস অফিসার রুবাবা দৌলা বলেন, “আমরা উন্নতির শীর্ষ শিখরে উঠতে প্রস্তুত স্পেশাল অলিম্পিয়ানদের স্পন্সর হতে পেরে গর্ববোধ করছি। এই ৮০ জন ব্যক্তি সামাজিক বাধার বিপরীতে যাবার যে সাহস দেখিয়েছে তা প্রশংসার দাবিদার। আামরা এই সাহসী ব্যক্তিদের সাহায্য করার সুযোগ পেয়ে গর্বিত”।