ইউনেস্কো কিং হামাদ বিন ইসা আল-খলিফা পুরস্কার আয়োজনে অংশ নিলেন জাগো ফাউন্ডেশন

সিনিউজ ডেস্ক: জাগো ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক করভি রাখসান্দ সম্প্রতি বাহরাইন কর্তৃক আয়োজিত “ইউনেস্কো কিং হামাদ বিন ইসা আল-খলিফা প্রাইজ ফর দ্য ইউজ অব আইসিটি ইন এডুকেশন”-এর ২০ বছর পূর্তি উদ্‌যাপনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। বাহরাইন বিশ্ববিদ্যালয়ে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

 

এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাহরাইনের রাজা হামাদ বিন ইসা আল খলিফা, রাজপুত্র সালমান বিন হামাদ আল খলিফা, ইউনেস্কোর মহাপরিচালক অড্রে আজুলে, এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী ও পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা। এই আয়োজনের মাধ্যমে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) ব্যবহারের মাধ্যমে উদ্ভাবনী শিক্ষাব্যবস্থা দুই দশক পূর্তি উদ্‌যাপন করা হয়।

 

২০১৬ সালে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতে অগ্রণী ভূমিকার স্বীকৃতি স্বরূপ জাগো ফাউন্ডেশন ইউনেস্কো কিং হামাদ বিন ইসা আল-খলিফা প্রাইজ ফর দ্য ইউজ অব আইসিটিস ইন এডুকেশন অর্জন করে। ইউনেস্কোর তৎকালীন মহাপরিচালক ইরিনা বোকোভা এর কাছ থেকে করভি রাখসান্দের এই সম্মাননা গ্রহণ করে। প্রথমবারের মতো ইউনেস্কোর থেকে কোনো বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান এই পুরস্কার অর্জন করে। জাগো ফাউন্ডেশনের লক্ষ্য হলো প্রযুক্তির মাধ্যমে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা যেন সামাজিক বা অর্থনৈতিক অবস্থান নির্বিশেষে প্রত্যেক শিশু শিক্ষা লাভের সুযোগ পায়।

 

অনুষ্ঠানে করভি রাখসান্দ বলেন, “আমরা বুঝতে পেরেছি যে, বিশ্ববাসী অবশেষে আমাদের কথা শুনছে। এই পুরস্কার অসহায় শিশুদের শিক্ষার সুযোগ করে দেওয়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করেছে এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার নতুন পথ খুলে দেয়।”

 

২০ বছর পূর্তির এই আয়োজনে যোগ দেন বিশ্বের অনেক উদ্ভাবক এবং শিক্ষাবিদ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ড. ডে জুন হোয়াং (দক্ষিণ কোরিয়া), ড. হোদা বারাকা (মিশর), এদুয়ার্দো মঞ্জে (কোস্টারিকা), সৌরভ মোহান্তি (ভারত), ইলহাম লাজিজ (মরক্কো), লুক স্ট্যানার্ড (নেদারল্যান্ডস), রেনাটা গ্রান্ডো (ব্রাজিল), ড. অভয় কুমার (ভারত), মোয়াসি উইলমোর (তানজানিয়া), মিনচুল শিন (দক্ষিণ কোরিয়া), সারাহ ডিসক্যাম্পস (বেলজিয়াম) এবং পুরষ্কার বিজয়ীরা।

 

এই পুরস্কারের দীর্ঘ ২০ বছরের যাত্রার তাৎপর্য তুলে ধরেন উপস্থিত ব্যক্তিবর্গ। তাদের আলোচনায় উঠে আসে, সংস্কৃতি, জ্ঞান বিনিময়ে কীভাবে এই সম্মাননা একটি বৈশ্বিক সেতুবন্ধন তৈরি করেছে এবং এর মধ্য দিয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষার নতুন যুগ তৈরি হয়েছে।

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।