ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটিতে ‘সাইবার নিরাপত্তা দিবস’ পালন

সিনিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক সাইবার নিরাপত্তা মাস উপলক্ষে ১২ নভেম্বর দিনব্যাপী ‘সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা দিবস-২০২২’ পালন করেছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাইবার সিকিউরিটি সেন্টার। এবছর দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয় ”সাইবার অপরাধে তোমার জীবনকে ধ্বংস হতে দিও না”। শনিবার ঢাকার আশুলিয়ায় ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটিতে আয়োজনটির উদ্বোধন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় এঞ্জুরী কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন।

বক্তব্য রাখেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান, উপাচার্য প্রফেসর ড. এম. লুৎফর রহমান, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. এস. এম. মাহবুব-উল হক মজুমদার, বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. ফোখরে হোসেন, সাইবার সিকিউরিটি সেন্টারের পরিচালক ও সহযোগী অধ্যাপক মো. মারুফ হাসান। এছাড়া অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষকমন্ডলী এবং শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন । দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল বর্ণাঢ্য র‌্যালী, সাইবার সিকিউরিটি সেন্টারের উদ্বোধন, সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক সেমিনার, প্রশিক্ষণ কর্মশালা, প্যানেল আলোচনা, পণ্য পদর্শনী, গুগল হ্যাকিং কনটেষ্ট এবং সমাপনী অনুষ্ঠান। এই প্রতিযোগিতায় সারা দেশ থেকে শতাধিক দল অংশ নিয়েছে। দিনব্যাপী এসব আয়োজনে সহযোগিতা করছে বেসিস, আইএসএএস, ট্রাষ্ট আয়রা এবং সফটহাব বিডি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, প্রধান,মন্ত্রীর ভিশন ২০২১ অনুযায়ী ইতোমধ্যে আমরা সারাদেশের ডিজিটাইলেজশন করতে পেরেছি। কিন্তু এখন সময় এসেছে এই তথ্য প্রযুক্তির যুগে আমাদের ডিজিটাল নিরাপত্তার ব্যাপারটা জোরদার করা; আর এজন্য সাধারণ মানুষকে হতে হবে সচেতন।
তিনি আরো বলেন, দেশের মানুষের জন্য কাজ করার সবচাইতে ভালো সুযোগ তরুণদের জন্য তাদের শিক্ষাজীবনে। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে এত চমৎকার সাইবার সিকিউরিটি সেন্টার ও এর ল্যাব রয়েছে, যার যথেষ্ট ব্যবহারে আমাদের শিক্ষার্থীরা নিজেদেরকে সাইবার নিরাপত্তায় কাজে লাগতে পারে।

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান বলেন, আমি আমাদের তরুণদের নিয়ে খুবই আশাবাদী। আমাদের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা ইতোমধ্যে নিজেদেরকে স্বরুপে তুলে ধরেছে এবং দেশের বিভিন্ন খাতে অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছে। আমি আশা করবো বর্তমান শিক্ষার্থীরাও সাইবার সিকিউরিটি সেন্টারের ব্যবহাওে আগ্রহী হবে।

 

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।