ক্রেতার চাহিদা পূরণে এল স্যামসাং গ্যালাক্সি এ সিরিজ
প্রযুক্তির পরিবর্তনের সাথে সাথে এর ব্যবহারের পরিবর্তনও লক্ষ্যনীয়। এটি সবচেয়ে বেশি দেখা যায় স্মার্টফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে। আগে মানুষ স্মার্টফোনে ছবি তোলা যায় এটি নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতো। প্রতিনিয়ত তা পরিবর্তিত হয়ে কখনও গান শোনা, কখনও গেম খেলা, কখনও ভিডিও ক্যাপচার করা, কখনও ভিডিও ষ্ট্রিমিংয়ে পছন্দের শো দেখা এবং সর্বশেষ সেলফি তোলা। এতোগুলো কাজের বাইরেও কিন্তু স্মার্টফোন ব্যবহারের বৈচিত্রতা অনেক।
উল্লেখ, দ্রুতগতির ফোরজি নেটওয়ার্কের বিস্তার ও মোবাইল ইন্টারনেটের সহজলভ্যতার কারণে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমের ব্যবহার হয় অনেক বেশি। এরই ধারাবাহিকতায় আজকাল স্মার্টফোনে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয় ভিডিও ষ্ট্রিমিং ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমের অ্যাপ্লিকেশনগুলো যেমন- ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাট, ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপ, স্কাইপে, টুইটার, লিংকডইন, ইউটিউব, বায়োস্কোপ, নেটফ্লিক্স ইত্যাদি। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে ব্যবহারকারীরা যা বেশি শেয়ার করে তা হচ্ছে ছবি ও ভিডিও। আর তাই স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো স্মার্টফোনের ক্যামেরার প্রতি বিশেষভাবে নজর দিয়ে থাকে।
এখন ট্রেন্ড হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে লাইভে আসা। ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, টিকটক ইত্যাদি অ্যাপ্লিকেশনগুলোর মাধ্যমে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা প্রতিনিয়ত লাইভে আসছেন। কেউবা ই-কর্মাস ব্যবসায় বিক্রয়যোগ্য পণ্য প্রদর্শনের জন্য, কেউবা দূরবর্তী কোনো জায়গায় বসে লাইভ ক্লাস নিতে আর কেউবা বিনোদনের জন্য লাইভে এসে থাকেন। মূল কথা হচ্ছে লাইভে আসা। স্মার্টফোনটি দিয়ে যেনো সহজেই এবং ঝামেলা ছাড়া লাইভে আসা যায় সেটিই এখন চাহিদা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এই চাহিদা পূরণে এগিয়ে থাকার প্রত্যয়ে স্যামসাং বাজারে নিয়ে এসেছে গ্যালাক্সি এ সিরিজের দূর্দান্ত সব ডিভাইস। প্রশ্ন হচ্ছে কেনো গ্যালাক্সি এ সিরিজ?
গ্যালাক্সি এ সিরিজের ডিভাইসগুলোতে যুগোপযোগী ফিচারগুলোর চমৎকার সমন্বয় করেছে স্যামসাং। লাইভের জন্য ডিভাইসগুলোর ক্যামেরা যেমন উপযুক্ত তেমনটি সেগুলোর প্রসেসর ও র্যামের কার্যকারীতাও অসাধারন। গ্যালাক্সি এ সিরিজের ১২৩ ডিগ্রি আল্ট্রা-ওয়াইড লেন্সে ভিডিও ক্যাপচার, সুপার স্লো-মো ও হাইপারল্যাপস হবে অনায়াসে। এছাড়া কোনো ধরনের ল্যাগিং ছাড়াই লাইভে আসা, অ্যাপসের মাধ্যমে পছন্দের ভিডিও তৈরি কিংবা ভিডিও ষ্টিমিং হবে অত্যন্ত সহজ ও মানসম্মত।
–সিনিউজভয়েস/জিডিটি/২০এপি/১৯