ওম্যান বাই এইচপি গেমিং নোটবুক পিসি বাংলাদেশ
গেইমরাদের জন্য ‘ওম্যান বাই এইচপি’ মডেলের একটি নতুন নোটবুক পিসি এনেছে এইচপি ইনকর্পোরেশন। গেইমারদের কথা মাথায় রেখে এ ডিভাইসের সক্ষমতা, পোর্টেবিলিটি ও আকর্ষণীয় স্টাইলের ডিজাইন করা হয়েছে। স্বাচ্ছন্দ্যে গেইম খেলার দারুণ এ পিসি আজ উন্মোচন করা হলো।
সম্প্রতি ঢাকার একটি হোটেলে উন্মোচন করা হয় এইচপি ওম্যান গেমিং ল্যাপটপ, অনুষ্ঠানে এইচপির এশিয়া ইমার্জিং কান্ট্রিজের ম্যানেজার (নোটবুক) সামান্তা গোও, বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার ইমরুল হোসাইন ভূঁইয়া, এইচপির বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার সালাউদ্দিন মোহাম্মদ আদেল এবং মার্কেট স্পেশালিস্ট ফাহিমা আফরিন এষা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন স্মার্ট টেকনোলজিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, রায়ান্স কম্পিউটার্সের এমডি আহমেদ হাসান জুয়েল, স্টারটেক অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চেয়ারম্যান রাশদ আলী ভূঁইয়া এবং ডিরেক্টর জাহেদ ভূঁইয়া।
এইচপি ভিডিও গেইমিং মূল ধারাতে প্রবেশ করে ১৯৭০-১৯৮০ এর দশকে। আরকেড ভিডিও গেইমস (সেন্টিপিডেস ও স্পেস আক্রমণকারীদের মতো), গেইমিং কনসোল (এটারি) এবং বাড়িতে বসে কম্পিউটার গেইম (পং-এর কথা মনে আছে) ওই সময় যুক্তরাষ্ট্রে সহজলভ্য ও জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
তখন থেকে গেইমারদের জন্য যুক্ত হয়েছে শত শত ধরনের গেইম। যার মধ্যে ফার্স্ট পারসন শ্যুটার, টেক্সট অ্যান্ড গ্রাফিক অ্যাডভেঞ্চার, ফ্যান্টাসি, সিমুলেশন ও অনলাইনে ব্যাপকভাবে পরিচিতি পাওয়া মাল্টিপ্লেয়ার অনলাইন রোল-প্লেয়িং গেইম বা এমএমওআরপিজিএস রয়েছে। এ সময়ের মধ্যেই গেইমের জনপ্রিয়তা বিশ্বব্যাপী খুবই বেড়ে যায়। বিভিন্ন ধরনের গেইমের মাধ্যমে বিশ্বের প্রতিটি অঞ্চলের মানুষ ঘরে বসে তাদের কম্পিউটারের স্ক্রিনের মাধ্যমে চিৎকার, ভার্চুয়াল আতঙ্ক ছড়িয়ে দেওয়া এবং একে অপরের প্রতি ঘৃণা, আনন্দ, হত্যা ও সেই ভার্চুয়াল মৃত্যুতে রোমাঞ্চ ও উল্লাস করে।
প্রযুক্তি ও গেইমিং প্লাটফর্মের সহজলভ্যতার ফলে এর সঙ্গে মানুষের সংযুক্তি বাড়ছে। একই সঙ্গে গেইমারদের অভিজ্ঞতায় আরও নতুন কিছু সংযোজন হচ্ছে। ধীরে ধীরে অত্যাধুনিক হওয়ায় এর চাহিদাও বাড়ছে দিনকে দিন। আর কম্পিউটার গেইমারদের জন্য প্রধান বিষয়গুলো হয়ে দাড়াঁয় ডিভাইসের সক্ষমতা, নিজের মতো পরিবর্তন করার সুবিধা ও ডিজাইন।
ওমেন পোর্টফোলিওটি সর্বশেষ এএএ গেমস, সর্বোচ্চ-র্যাংকিং ও বেস্ট-সেলিং গেইমগুলি খেলার জন্য যাতে দারুণ প্লাটফর্ম হতে পারে সেভাবে তৈরি করা হয়েছে। এতে উন্নত গ্রাফিক্সের মাধ্যমে খুবই মসৃণভাবে গেইম খেলা যাবে। একই সঙ্গে এর তাপ নিঃস্বরণে কুলিং ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আর গেইমাররা যে ধরনের অভিজ্ঞতা চান তা খুঁজে পেতে নতুন পোর্টফোলিও গেইমারদের জন্য সঠিক ডিভাইস খুঁজে দিতে সহায়তা করবে।
পোর্টেবল পাওয়ার হাউজ
গেইমিং পারফর্মেন্সের জন্য কয়েকটি বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে রয়েছে- দ্রুত প্রসেসিং পাওয়ার, সাটার ফ্রি ফ্রেম রেট, দ্রুত লোড ও ভালোমানের গ্রাফিক্স।
‘ওমেন বাই এইচপি’-তে রয়েছে এসব ফিচারের সবই। সর্বশেষ প্রযুক্তির এনভিডিয়া জিফোর্স জিটিএস ১০৫০টি ও সপ্তম প্রজন্মের ইন্টেল কোর আই সেভেন-এর উন্নত কর্মক্ষমতার স্ট্যানিং গ্রাফিক্স। কারণ বেশিরভাগ গেইমই ডিজাইন করা হয় ফুল এইচডিতে।
‘ওমেন বাই এইচপি’-এর ১৫.৬ ইঞ্চি তীর্যক ডিসপ্লের রেজ্যুলেশন ১০৮০ পিক্সেল। এর মাধ্যমে খুব মসৃণভাবে গেইমের গ্রাফিক্স দেখা সম্ভব। এমনকি গেইম তৈরির সময় যেসব রঙ ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলোও ৭২% মসৃণভাবে দেখা যায়।
এ গেইমিং পিসিতে স্ট্যান্ডার্ড ১২৮ জিবি এসএসডি রয়েছে, যা অন্য সাধারণ হার্ডড্রাইভের চেয়ে দুই থেকে তিন গুণ দ্রুত কাজ করে। চাইলে গ্রাহকরা র্যাম ৮ জিবি অথবা ১৬ জিবি ডিডিআর৩-এর যে কোনোটি বেছে নিতে পারবেন। একই সঙ্গে এর গ্রাফিক্স মেমোরি ২ জিবি অথবা ৪ জিবি জিডিডিআর৫ বেছে নেওয়ার অপশন রয়েছে।
‘ওমেন বাই এইচপি’ পিসির কাঠামোগত ডিজাইন গেইমের বিষয়টি পরিকল্পনায় রেখেই করা হয়েছে। গেইম খেলার ক্ষেত্রে পিসির তাপমাত্রা এর কর্মদক্ষতার প্রধান শত্রু। তাই এর প্রকৌশল নকশা করা হয়েছে এ তাপকে নিঃসরণের বিষয়টি মাথায় রেখে।
রাখা হয়েছে দুটি ফ্যান, যা এর পুরো অংশকে ঠান্ডা রাখার জন্য কাজ করে। এ প্রক্রিয়ায় পুরো ব্যবস্থাকে শীতল রাখার জন্য এ ফ্যান কাজ করে, যা অন্য কোনো পিসিতে নাই। এমনকি কিবোর্ড থেকে যে গরম বাতাস বের হয়ে গেইমারদের হাতে লাগে সেটাও লাগবে না। এর পুরুত্ব মাত্র ২৪.৫ মিলিমিটার এবং এর ওজন ২.০৯ কেজি। ‘ওমেন বাই এইচপি’-তে রয়েছে পোর্টেবল পাতলা এবং ব্যাকলাইট সমৃদ্ধ কি-বোর্ড। এর ড্রাগন-রেড লাইট, যা স্বল্প আলো কিংবা আলো-আঁধারি পরিবেশে ভালোভাবে দেখার সুবিধা দেয়। রয়েছে একটি পাওয়ার পোর্ট, এইচডিএমআই ভি২.০, দুইটি ইউএসবি ৩.০ পোর্ট এবং একটি ইউএসবি ২.০ পোর্ট, যার সঙ্গে আরজে ৪৫ প্রযুক্তি।
এইচপি ‘ওম্যান’ ল্যাপটপের মূল্য হবে, র্যাম ৮ জিবি এক লাখ ১৫ হাজার টাকা অথবা ১৬ জিবি ডিডিআর৩ এক লাখ ৪০ হাজার টাকা। ফোন: ০১৭৩০৭০১৯১০
-গোলাম দাস্তগীর তৌহিদ